আমাদের একটা ছোটবেলা ছিল, বৈষ্ণব দের আগমনী গান শুনলে বুঝতে পারতাম, “পুজো আসছে” মামা বাড়িতে গিয়ে “নন্দী টেলার্স” এর দোকানে জামা প্যান্ট এর মাপ দিয়ে আসতাম । তিনটে করে সকলের তিন রকমেরজামা হতো,
সারা বছরের জন্য ‘scout ‘ জুতো, মাথার কাছে রেখে ঘুমোতাম। ছোট লাইনের বিডিআর এ চড়ে গ্রামের স্টেশন এ নেমে, মা
জিনিসপত্র নিয়ে গরুর গাড়িতে আর আমরা পেছনে দৌড়তে দৌড়তে বালি ভর্তি বনঢালের রাস্তায়, সোজা গোপালের মন্দির। সামনের বাড়িতে মুক্তি দা আর ওর ভাই গাইছে” চিনি আমি চিনি”,
পুরনো বন্ধুরা খবর পাওয়া মাত্র দৌড়ে আসে জড়িয়ে ধরতে । কুমারের বাড়িতে দেখি তখনও রং চরেনি, কিন্তু ময়রার দোকানে ভিড়, ভিয়েন এর ব্যবস্থা করতে। আমার হাতে মা একটা থলি আর পয়সা দিয়ে বলত, কি আনতে হবে ।
আমরা গামছা নিয়ে পুকুর পাড়, চান করে,একসাথে শাল পাতার থালায় ভাত আর বেগুন পোড়া খেয়ে , দৌড়ে ঠাকুর দালান। বাবা আসতো দুর্গা মা, আর মা এর জন্য শাড়ি নিয়ে।তার পর থেকে প্রতিদিন সকালে শাল বন আর শালি নদী, মুড়ি , ভাবরা ,খেয়ে আবার দৌড় । বামুন মা এর হাতে ভাজা মুড়ি,আর ময়রার দোকানের থেকে টানার নাড়ু , মন্ডা,খাজা দিয়ে জলখাবার । এখনও স্বপ্নে বিভোর হয়ে উঠি ছোটবেলা র পুজোর গল্প ভেবে।
Comments »
No comments yet.
RSS feed for comments on this post. TrackBack URL
Leave a comment