গত ক’বছর বৃষ্টি হয় নি, এমনই কঠিন ভাগ্য
সে খরা কাটাতে, বৃষ্টি নামাতে করা হবে নাকি যজ্ঞ
দেখতে যজ্ঞ আগ্রহভরে
হাজির হলাম বর্ষাতি পরে
দেখি লোকে দেখে হাসছে আমাকে। আমি কি একাই অজ্ঞ?
আকাশে উদিত বাঁকা রামধনু, অপূর্ব শোভা কি যে
সে ধনু তৈরী বৃষ্টিজলেই, ভুলে গেছিলাম নিজে
হায় হরি, শেষে একটু বাদেই
সে মেঘ মাথার ওপর এলো যেই
সাথে নেই ছাতা, অবস্থা যা-তা, পুরোই গেলাম ভিজে।
ও খারাপ পাড়া, আমি সজ্জন, চোটপায়ে পথ মাড়িয়ে
চলে যাই আমি ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে ওই জায়গাটা ছাড়িয়ে
ওরা নি-লজ্জা, স্কার্ট খাটো ঝুলে
বুকের বোতাম আছে আধ-খুলে
মুখে রং, আর পেটে ক্ষিদে; ওরা পথেই রইলো দাঁড়িয়ে।
এটা তো জানি যে গাছেতে ফলেনা টাকা
তবু মনে জাগে একটা প্রশ্ন, কাকা
জিজ্ঞাসা করি তোমার কাছে
ঠিক যেমনটি দেখা যায় গাছে
ব্যাংকেরও কেন থাকে এতো এতো শাখা!
বানে গেলো জমি, ফলন্ত গাছ, ফসলের গোলা, বাড়ি
– নিশ্চয়ই ওরা করেছিল পাপ, শাস্তি পাচ্ছে তারই।
পাগল নদীর দুরন্ত ঢেউ
গ্রাস করে নিলো দেবালয়কেও!
– প্রভুর কি লীলা! সব কি আমরা ব্যাখ্যা করতে পারি?
সুখ না থাকলে চাপ তো বটেই, সে আর কি হবে বলে?
সুখ থাকলেও সেটাও তো চাপ, পাছে সুখ যায় চলে।
চাপ তো বটেই না থাকলে টাকা,
থাকলেও চাপ, যদি হয় ফাঁকা।
শাঁখের করাত, চাপের চাপেতে পড়েছি গণ্ডগোলে।
গরুর বিষয়, দেখছি খুলে রচনাবইখানি
শৃঙ্গযুক্ত, তৃণভোজী, সে সব আগেই জানি
চতুস্পদ, গৃহপালিত
লেজবিশিষ্ট নয় খালি তো
নতুন যোজন -“গরু একটি রাজনৈতিক প্রাণী”।
আকাশপ্রদীপ জ্বেলে / ঘোর ঘোর চোখ মেলে / দেখি ন্যাড়া আধ-আঁধার ছাদটা
বাবা আর মা দুজন, / দাদু-দিদিমারা চার, / তাদেরও মা-বাপ লোক আটটা
তার আগের ষোলজন, / তার আগের বত্রিশ
চৌষট্টিরও পরে / একশো-অষ্ট-বিশ – – – ! ! !
ভড়কে হটতে পিছে / সোজা পড়লাম নিচে, / বেড়ে গেলো আরো এক আত্মা।
Submitted by Ambarish Goswami
Comments »
No comments yet.
RSS feed for comments on this post. TrackBack URL
Leave a comment