আছেতো আমার অনেক দোষ ও অক্ষমতা,
তার মধ্যে বড় হল বলতে না পারা কথা;
লেখালেখিতে তাওবা পারি নিজেকে একটু বোঝাতে,
কথার বেলাই মন ভরে যায় দ্বিধা আর সংকোচে;
ভেবেছিলাম কাজের মধ্যে করব প্রকাশ সহজেই,
বুঝিনি তখন কথার গুরুত্ব কাজেরও বেলাতে!
বিদ্রোহী মন মানেনিতো কোন ক্ষমতার নিগ্ৰহ,
হয়ে সোচ্চার করেছে প্রতিবাদ তাইতো অহরহ!
সেই সংর্ঘষে পাইনি কাউকেই বিশেষ সাথে,
তবু হেরে গিয়ে মেনে নেওয়া ছিল না মোর ধাতে;
জীবনের সব নিগূঢ় সত্যই কঠিন ও নয় প্রিয়,
তারই জন্য লড়াই করে হলাম আমি অপ্রিয়!
কথা ও কাজের সম্পর্ক কত যে গভীর,
তার তাৎপর্য বুঝতে কাটলো জীবনভর,
আগে বুঝলে হতাম কোন বিশেষ সমাজপতি,
পারিনি তাই রয়ে গেলাম কর্মী প্রতিবাদী;
পারিনিতো তেমন করে কথা দিয়ে বোঝাতে,
তাই কেটেছে জীবন দ্বন্দে সমাজপতিদের সাথে!
জীবনের দিনান্তে বিদ্রোহী সৈনিক হয়েছে শান্ত,
প্রতিবাদ, কলহ, মতভেদ সবকিছুই ক্ষান্ত,
এখন সে বলতে চায় কিছু মনের কথা,
দুঃখ-সুখ-হাসি-কান্নায় ভরা জীবনের গাথা,
কাকে শোনাই,খুঁজে বেড়াই হেতা হোথা,
দু’একজন সমব্যথী, অকপট শ্রোতা!
তাই আজ মনের কথা লিখি কবিতায়,
যতটা পারি নিজের ক্ষুদ্র ক্ষমতায়,
পাঠাই তোমাদের কাছে সোস্যাল মিডিয়ায়,
এটা করি সম্পুর্ন নিজের খুশীতে, ইচ্ছায়;
যদি লাগে ভালো তোমাদের মধ্যে কারো,
তা জানলে লাগবে ভালো আমারও!!
Comments »
No comments yet.
RSS feed for comments on this post. TrackBack URL
Leave a comment