তোমার আমার চাওয়ার মধ্যে ছিলতো কতই পার্থক্য,
তবুও এতদিন ভাঙ্গেনিতো আমাদের দুজনের সম্পর্ক!
এসেছে জীবনে কত তুফান-ঝঞ্ঝা-ঝড়,
হয়তোবা সম্পর্কের ভীতে ধরেছে কিঞ্চিত ফাটল,
দুএকটা বন্ধনের গ্ৰন্থি কখনো হয়েছে শিথিল,
তবুওতো আমাদের সম্পর্ক রয়েছে অটুট এতদিন!
চাওয়া-পাওয়া-দেয়া-নেয়া এই নিয়েইতো সংসার,
আমাদের সব সম্পর্কে এই সুত্রইতো মূখ্য আধার!
হতে পারে কম বেশি এই চারের বিভাজন,
কারো ভাগে কিছু বেশি, কারুর ভাগে কম!
চাওয়া-দেয়ার সমীকরণ নিয়েই সম্পর্কের খেলা,
চাওয়া ছাড়া দেয়া মনে হত সেতো এক ইউটোপিয়া!
দু’জন মানুষের চাওয়া হবেইতো ভিন্ন ভিন্ন,
প্রকৃতির নিয়মে সেটাই স্বাভাবিক,অভিন্ন !
এই ভিন্নতার মধ্যেই গড়ে ওঠে সব সম্পর্ক,
চাওয়া-পাওয়ার থাকুকনা যতই পার্থক্য!
এই পার্থক্য মেনে নিলেই সহজ হয় জীবনের ছন্দ,
নতুবা বাঁধে মতের বিরোধ, কলহ আর দ্বন্দ!
সব প্রজন্মেই থাকে কিছু সামাজিক নিয়মবিধি,
সবাই চলি আমরা মেনে তাই নিরবধি!
আমরাতো সব মানুষ সেই পুরনো দিনের ,
ফেলে দিনা কিছুই পুরোনো বা ভাঙ্গা বলে;
পুরোনো হলে ঘষে মেজে ফিরিয়ে আনি চমক,
আর ভেঙ্গে গেলে জোড়া দিয়ে করি নতুনের মতন!
আমাদের দুজনের সম্পর্কও ছিল আবদ্ধ এই নিয়মে,
আর সেই সঙ্গে ছিল কিছু পারস্পরিক অঙ্গীকার,
তাই সংসারের দৈনন্দিন টানাপোড়েনে,
সম্পর্ক চিড় খেলে, ভাঙ্গার উপক্রম হলে,
ভালোবাসার প্রলেপে, সময়ের নিরাময় স্পর্ষে,
আর কঠিন প্রচেষ্টায় তাকে লাগিয়েছি জোড়া!
বয়সের সাথে সাথে চাওয়ার ধরন গেছে পাল্টে,
সম্পর্কের চাওয়া-দেয়ার সমীকরণও গেছে বদলে,
এখন অভ্যাসের বশে না চাইলেও যায় পাওয়া,
আর পাওয়ার অপেক্ষা না করেই যায় দেয়া;
এক সময় যেটা মনে হতো নিছক ইউটোপিয়া,
আজ সেটাই জীবনের একমাত্র সঙ্কল্পের গাথা!
এই বেলাশেষে তাই সম্পর্কের রূপ গেছে পাল্টে,
সাধারণ চাওয়া-পাওয়ার অনেক ঊর্ধ্বে,
বেড়েছে একের অপরের পরে নির্ভরতা,
হাতে হাত রেখে পাশাপাশি বসার প্রবনতা!
এমনি করেই কাটুক আমাদের বাকি জীবনটা,
আঁকড়ে পুরাতন সম্পর্কের বন্ধন ডোরটা!
Comments »
No comments yet.
RSS feed for comments on this post. TrackBack URL
Leave a comment