_” सत्यं वद, प्रियं वद,_
_मा बद सत्यं अप्रियं!”_
‘সত্য বলো, বলো যা প্রিয়,
বলো না সত্য অপ্রিয়!’
এই প্রবাদ বাক্য শুনে শুনে হয়েছিতো বুড়ো,
কিন্তু সম্পূর্ণ অর্থ তার বুঝিনি তো আজো!
সত্যের আবার হয় নাকি প্রকারভেদ?
আছে নাকি তার ভিন্ন ভিন্ন রূপ?
কোনোটা প্রিয়, কোনোটা বা অপ্রিয়,
কোনোটা কটু, কোনোটা শ্রুতিমধুর?
সত্যতো সত্যই! তারও হবে বিচার?
এটা কি হবে না সত্যের প্রতি অবিচার?
বিচার তার করবে কে? তুমি না আমি?
কে দেবে সত্যের অমোঘ বিচারবিধান?
বাড়িতে বাবা-মা-গুরুজন, স্কুলে শিক্ষক,
বিয়ে হলে গিন্নি, কর্মক্ষেত্রে বস্ ,
ধর্মক্ষেত্রে পুরোহিত, রাজনীতিতে মন্ত্রী,
সবার ওপরে আছে আদালতের বিচারক!
এই সব সমাজপতিদের কথাই ‘শেষ কথা’,
তাদের ‘আমি বলছি’, সেটাই হল সত্য;
তোমার ভালো না লাগলেও সেটাই প্রিয়,
যদি কর প্রতিবাদ সেটাই হবে অপ্রিয়;
কোন যুক্তি ব্যাখ্যা মিনতি খাটে না সেখানে,
ক্ষমতাই ঠিক করে সব সত্য-মিথ্যার রূপ,
হোক না কেন সে যে কোনোই ক্ষমতা,
কামিনী, কাঞ্চন বা বন্ধুক!
ক্ষমতার কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছে সত্য,
চারদিকে শত শত বিচারক পরিবেষ্টিত,
সবাই বোঝায় নিজের স্বার্থে ভিন্ন ভিন্ন নীতি,
সত্যকে করে নির্বাক বিহ্বল শিখন্ডী!
তা সত্ত্বেও আছে কিছু নির্ভীক মানব,
তারা করে প্রতিবাদ,করে যায় লড়াই,
প্রতিষ্ঠিত করে সত্যকে নিজের মহিমায়,
সমাজের বিবর্তনে, সভত্যার অগ্ৰগমনে!
তবে হ্যাঁ, যদি শিখতে পার কূটনীতি,
“অশ্বত্থমা হত …..ইতি গজঃ…..”
অথবা হও যদি চাটুকারিতায় পারদর্শী,
শুধু সত্য নয়, সব মিথ্যাও হবে তবে প্রিয়!
সত্যের রূপ নিজেকেই তাই করতে হবে ঠিক,
হয়ে সমাজপতি বা প্রতিবাদী সৈনিক,
মেনে নিয়ে নিজের আদর্শ আর ধর্ম,
নিজেই হবে নিজের সত্যের বিচারপতি!!
কমল রঞ্জন আচার্য্য
৩রা সেপ্টেম্বর, ২০২০
Comments »
No comments yet.
RSS feed for comments on this post. TrackBack URL
Leave a comment