সবই চলে আপন নিয়মে এই দুনিয়ায়,
তুমি আমি আমরা সবাই চাই বা না চাই!
বর্নপরিচয়ের দিন থেকে তাই,
“জল পড়ে, পাতা নড়ে”……
কেউ লেখে, কেউ পড়ে,
কেউ আঁকে, কেউ দেখে,
কেউ গায়, কেউ শোনে!
সেই একই নিয়মে বোধহয়,
তাঁতির বৌ পড়েনা শাড়ি জামদানি,
খুবই যত্নে করে করেছে যার বুনানি,
বা মজদুরের পরিবার থাকেনা প্রাসাদে,
যা তারা তৈরী করে অনেক কষ্টেসৃষ্টে!
আরেক নিয়ম মেনে চলে জগতের সব জীব,
সিংহ সাবক বড় হয়ে, হয় সিংহ,
বিড়ালের ছানা বিড়াল,
কোকিলের বাচ্চা হবেই কোকিল,
যদিও সে জন্মায় কাকের কুলায়!
মানুষের বেলায় খাটে না সে নিয়ম,
সব মানুষের শিশু হয়না কিন্তু ‘মানুষ’,
বড় হয়ে অনেকেই হয় যে ‘অমানুষ’!
তারাই আনে পৃথিবীতে যত হানাহানি,
যত ভেদাভেদ, যত রেষারেষি আর অশান্তি!
যুগ যুগান্তরের এত যে জ্ঞানের ঝাঁপি,
এত যে শিক্ষা, সভ্যতার ড্রামাবাজি,
কত লক্ষ মন্দির মসজিদ গির্জা,
আর সব ধর্মীয় আধ্যাত্মিক গুরুর দল,
পারেনি তো কেউ মানুষকে করতে ‘মানুষ’!
এখন ভরষা কি শুধু বিজ্ঞানের অন্বেষনে,
যদি পারে জীন/ডিএনএ’র পরিবর্তনে,
মানুষনামী জীবের ষট্ রিপু দমনে,
জাগৃত করে শুভবুদ্ধি, প্রেম, ভালোবাসা,
সব মানুষকে করতে ‘মানুষ’ সত্যিকারের!
তাইতো বুঝি না কেন এই নিয়মের ব্যতিক্রম,
নাকি ব্যতিক্রমটাই প্রকৃতির আর এক নিয়ম!
কমল রঞ্জন আচার্য্য
২৯শে আগষ্ট, ২০২০
Comments »
No comments yet.
RSS feed for comments on this post. TrackBack URL
Leave a comment