হে মরন,পারবো না আমি আজ,
করতে তোমার জন্য কোন অপেক্ষা,
তুমি এস আমার কাছে সময় করে,
তোমার নিজের যখন হয় ইচ্ছা!
আমি সময় কাটাই এই বেলাশেষে,
খোশমেজাজে, মজায় ও আনন্দে,
না কি তোমার জন্য অপেক্ষা করে করে,
ভয়ে ভয়ে আশংকায় ও নিরানন্দে!
সারাটা জীবনই তো কেটে গেল
বেয়ে একের পর এক অপেক্ষার সিঁড়ি –
ছোট থেকে বড় হব কত তাড়াতাড়ি,
পাশ করে চাকরি, কবে কিনব স্কুটার,
স্কুটার থেকে গাড়ি, তারপরে বাড়ি,
বিয়েটা কি তার আগে, ছেলে মেয়ে কবে,
কবে হবে প্রোমোশন, কবে বিদেশ পাড়ি,
কবে-কবে-কবে সব অপেক্ষার সারি!
সব অপেক্ষার সাথেই তো থাকে যুক্ত,
কিছু পাবার আকাংক্ষা ও আশা,
পেলে মন ভরে যায় খুশীর আমেজে,
যাই পেরিয়ে আরেক অপেক্ষার ধাপে,
না পেলে দুঃখে হতাশায় মন হয় ভারাক্রান্ত,
অপেক্ষা হয় দীর্ঘ থেকে আরও দীর্ঘতর,
এই আশা, আকাংক্ষা, অপেক্ষা, সাফল্য,
বিফলতা,পুনরায় অপেক্ষা, চলে চক্রবৎ অহরহ!
এই অন্তহীন অপেক্ষায় আর কাটাবোনা দিন,
জানি শরীর ধীরে ধীরে হবে অকেজো,
মনের দক্ষতা ক্রমে ক্রমে ক্ষীণ,
তবু রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে,
স্বাগত করব আরেক নতুন দিন,
বাঁচবো আমি নিজের মত, মনের আনন্দে,
সেটাই আমার আশা, সেটাই আকাংক্ষা,
কিন্তু তাতে থাকবে না আর কোনই অপেক্ষা!
তাই, মরনরে, তোমায় নিয়ে নেইকো আমার
কোন রকম আশা,আশংকা বা অপেক্ষা –
আমার নেই তো আশা মোক্ষপ্রাপ্তি বা স্বর্গবাসের,
নাইবা আছে আমার কোন শংকা নরকের যন্ত্রণার;
তুমি এস আমার কাছে তোমার সময় করে,
চলে যাবো তোমার সাথে তোমারই হাত ধরে,
হেসে হেসে পারি দেব অজানার উদ্দেশ্যে,
নাম না জানা আরেক নতুন কোনো দেশে!!
কমল রঞ্জন আচার্য্য
১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২০
Comments »
No comments yet.
RSS feed for comments on this post. TrackBack URL
Leave a comment