আজ্ঞে না ! এটা দুয়ারে-Xএর মতো কোনো সত্য বা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি না। এটা অবশ্যম্ভাবী – ২০২৩ এলো বলে, এটা তার আগমনী লাইন । তা ২৩ সাল আমাদের জন্য কি ‘জাদু কি ঝাপ্পি’ আনবে? অবশ্যই আট বিলিয়ন লোকের জন্য একই জাদু তো আর সে আনবে না, যেমন কোনো বছরই আনে না। তবুও মোটের ওপর এ কেমন যাবে অধিকাংশের ওপর? কাজের চাপটা একটু কম যাচ্ছে এখন, তার ওপর চারদিকে বিভিন্ন খবরের মহাপ্লাবন আর কলমটাও আজকাল বেশী ব্যবহার করা হয় না তাই ভাবলাম চলো কিছু কচকচানি করা যাক – তা সে ২০২৩ কেমন যাবে-ই হোক বা আমি কি আশা করি ২৩ বা আগামি দিনগুলো থেকে ।
‘Individual’ লেভেল থেকেই শুরু করা যাক । পুরোনো ঘড়িই যেমন নতুন বছরে একই ভাবে চলে বা সেই অতি পুরোনো বারোটা মাসই একই ক্রমে প্রত্যেক বছরে আসে, আমাদের প্রত্যেকের ব্যবহার, ভদ্রতা, ন্যাকামো, কেত-মারা একদম কার্বন-কপির মত পুরোনো ভাবেই নতুন বছরে থাকবে। এমনকি ‘পুরোনো মদ, নতুন বোতলে’ও নয়, পুরোনো গ্লাসেই খাবে সবাই । এসব ক্ষেত্রে আমরা improvement-এর কোনো লোক দেখানো resolution-ও নিই না বা নেবো না। চোর-গুলো চোরই থাকবে – ল্যাং-মারা,তেল দেওয়া যে ২০২২-এ করেছে সে ২৩-এও same skill দেখাবে। বরং সদ্য বিশ্বকাপ ফুটবল দেখে উঠেছে জনতা, ছোটো ছোটো পাশ দিয়ে গোল করার মতো ছোটো ছোটো ক্ষেত্রেও তাই করবে। শেয়ানা-গুলো শেয়ানাই থাকবে আর বোকাগুলো mostly বোকাই থাকবে । ফাউল খেয়ে একটু-আধটু নড়ে-চড়ে বসলেও বসতে পারে। অধিকাংশেই অন্যকে ছোটো করে নিজেকে যতটা পারে জাহির করবে । অনেকটা ‘জানিস আমার বাবা কে’ types। নিজের ছেলে-মেয়ে-সংসার নিয়ে ব্যস্তরা (with a few exceptions, যারা অন্যের বউ-মেয়ের দিকেও delta interested) তেমন-ই সংকীর্ণ থাকবে আর সেই ভাবেই next generation তৈরী করবে যাতে তাদের ছেলে-মেয়েরাও সংকীর্ণ, স্বার্থপর, শিক্ষিত হয়ে নিজের উন্নতি করতে পারে। সেদিক থেকে কাকা ২৩ নিয়ে কোনো tension নেই । কোরোণার মতো recent দগদগে সাংঘাতিক অভিজ্ঞতা
আমরা ভুলে মেরে দেবো তো ২৩ আমাদের কি বদলাবে মশাই!
বঙ্গসন্তান আমি – তা একটু বাংলার দিকে তাকানো যাক। বঙ্গ বাজারের সবচেয়ে তাজা খবর এখন দুর্নীতি, মাসের পর মাস ধরে তাজা খবর – তাও শিক্ষা নিয়ে যা বঙ্গের এক সময়ের USP ছিল । সোনার শিক্ষাকে গরুর মত চিবিয়ে, বিক্রি করে, কয়লার মত কালো করে দিয়েছে – তা এই জটিল জঁট ২৩-এ খুলবে কি তা বাংলার অনেকে ‘wants to know’। তবে এতে রাম-বাম-রহিম এক হয়ে যাবে না কি দুর্নীতি প্রশমিত হবে অন্য কোনো দুর্নীতি দিয়ে তা ঠিক বলা যাচ্ছে না। তার জন্য চোখ রাখুন প্রত্যেকদিনের ‘চাঞ্চল্যকর’ তথ্য সম্প্রচার করে এমন যেকোনো একটি 24×7 TV channel-এর গোপন সূত্রের খবরের ওপর।
এবার একটু দেশ-বিদেশে যাওয়া যাক। In short, ২০২৩ সাল বহু জাতক-জাতিকার জন্য ভালো যাবে না। বিশ্বব্যাপি supply-chain-এর প্রবল চাপ, মূল্যবৃদ্ধি, রাশিয়া-ইউক্রেন-এর যুদ্ধ, ২০২২-এ অনেক company’র কম লাভ হওয়ার জন্য company’র CXO-রা নিজেদের চাকরী বা company বাঁচাতে লক্ষ- লক্ষ ছেলে-মেয়ের ছাঁটাই করবে যার সূত্রপাত ইলন্ (মাস্ক) বা মার্ক (জাকারবার্গ)-দা রা শুরু করে দিয়েছে। এতে বহু মানুষ ও তাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বহু economist, industrialist-রা অবশ্য বহু ভাট্ বকবে কবে recession থেকে দেশগুলো ঘুড়ে দাঁড়াবে কিন্তু বাস্তবে কেউ জানে না তা হবে কবে। যার মাস-মাইনে বন্ধ হয়, ঠাপ নামে শুধু তার আর তার পরিবারের ওপর। এদিকে Digital দুনিয়ায় মানুষ বন্ধুর জায়গাও তো machine নিতে চলেছে। আর আজকের দিনে অধিকাংশের spare time কাটে mobile বা social media-তে। তবে হাজার social-media-র friend থাকা সত্ত্বেও, দুঃখ-কষ্ট share করার মত বিশ্বস্ত মানুষ বন্ধুর বড্ড অভাব অধিকাংশের। বন্ধুহীন, চাকরীহারা হয়ে দুঃখ- কষ্টের দিনগুলোও কিছুদিন কাটবে ছোটো গন্ডির মধ্যেই। আর সেই চাপের দিনে social-media-র লোকদেখানো post-গুলো বড্ড ফিকে, অর্থহীন বলে মনে হবে।
২০২৩ এক অনিশ্চয়তার সাল। আশায় বুক বাঁধা ভালো attitude তবে
বাস্তববাদী হলে এটা মনে হয় শুধু ২৩ কেনো, আগামী বছর গুলোই বেশী অনিশ্চয়তার,আগের অনেক দশকের তুলনায়। তার অন্যতম কারণ Artificial Intelligence(AI)-এর প্রবল দাপট। যে মানুষ AI সৃষ্টি করল সেই AI-ই প্রথমে ধীরে, তারপর প্রচন্ড গতিতে মানুষকে replace করবে আর বেশ কিছু ক্ষেত্রে live-together করবে। হয়ত নতুন অনেক কাজ সৃষ্টি হবে মানুষের জন্য কিন্তু তা কি সবার জন্য হবে! না হলে তাদের কি হবে যাদের উপার্জনের জন্য কিছু থাকবে না! AI যদি আগামী ১০-২০ বছরে দেশ, সমাজ, অর্থনীতি এমন প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে দোর্দন্ড্যপ্রতাপ হয়ে বিচরণ করে মানুষের কি ভূমিকা বা পরিচিতি হবে সমাজে? নতুন প্রজন্ম কি কি নিয়ে পড়াশুনা করবে তাদের ভবিষ্যতের পরিচিতি বা জীবিকার জন্য? মানুষের সৃষ্টি AI যদি মানুষকেই নিষ্কৃতি দেয় প্রায় সেই সমস্ত ক্ষেত্র থেকে যা এতকাল মানুষের বুদ্ধি-বিচার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হত তাহলে আশা একমাত্র সেখানেই যদি AI সংকীর্ণতা দূর করে, মনুষ্যত্বকে নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করে সবাইকে একত্রিত করে। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকেই না হয় আশা নিয়ে থাকা যাক ২৩-এর গোড়া থেকে।
Comments »
No comments yet.
RSS feed for comments on this post. TrackBack URL
Leave a comment