আবক্ষ ভাসছে জলে সিঁদুর মাখানো মুখখানি
নবপত্রিকা বিচ্ছিন্ন কচুরিপানার সাথে বয়
সোনার বরণ গলে পলিতে বিলীন ত্রিনয়নী
খড়ের কাঠামোটুকু কঙ্কালের মতো পড়ে রয়।
আকিঞ্চনে আবাহনে জগদ্ধাত্রী উমারূপে আসে
মৃন্ময়ী মূর্তিতে করি অনুভবে প্রাণের সঞ্চার
আনন্দমুখর পুজা সিক্ত বাৎসল্য সুধারসে
বঙ্গের আলয় হয় ‘বাপের ঘর’ জগঙ্মাতার ।
চারদিন ঠাঁই শুধু তারপর যাওয়া কৈলাশে
মহিষাসুরমর্দিনী ঋণ শোধে কনকাঞ্জলীতে
মহামায়া তবু বাঁধা সমাজের নিয়মের পাশে
বিসর্জনের বাজনা বিষাদের সুর ধমনীতে।
আবেগের অনুভুতি মৃত্তিকায় কন্যারূপ দেখে
আবাহনে নিরঞ্জনে বঙ্গ জীবনের রঙ মাখে।
Comments »
No comments yet.
RSS feed for comments on this post. TrackBack URL
Leave a comment