পড়ার বোঝা
পাঁচ বছরের বিট্টু পড়ার চাপে কুপোকাৎ
দশ বছরের ডোডো বইয়ের ভারে ধূলিসাৎ।
বিট্টু যায় স্কুলে ঠিক সকাল আট্ টায়,
সেই সময়ে আসে ডোডোর মাস্টারমশায়।
ডোডোর পড়া শেষ হয় প্রায় সকাল দশটায়,
স্নান করে ভাত খেয়ে সে বইখাতা গোছায়।
বিট্টু বাড়ী ফিরে আসে দুপুর এগারটায়,
ডোডো তখন তৈরী হয়ে স্কুলে চলে যায়।
এবার আসে বিট্টুর টিচার দুপুর বারোটায়,
স্নান করে ভাত খেয়ে বিট্টু পড়তে বসে যায়।
বিট্টুর পড়া শেষ হয় সেই দুপুর দুটোর সময়,
তারপর সে একটুখানি ওপরতলায় যায়।
ওপরেতে এসেছে এক দিদা বিদেশ থেকে,
এই দিদাকে বিট্টুর খুব গেছে ভাল লেগে।
অনেক রকম গল্প করে বিট্টু দিদার সাথে,
গেলে পরেই চকলেট্ দেয় দিদা বিট্টুর হাতে।
মা যেই ডাকে “বিট্টু এবার নেমে এসো নীচে”
সাথে সাথে বিট্টু বলে “যাই দিদা মার কাছে”।
ডোডো বাড়ী আসলে পরে দুই ছেলেকে নিয়ে,
মা একটু বিশ্রাম নেয় বিছানাতে শুয়ে।
সন্ধেবলা মা দুটিকে নিয়ে বসে পড়ান,
মায়ের কাছে নেইকো তাদের মোটেই ছাড়ান ছোড়ান।
পড়াশুনো শেষ হয় সেই দশটা এগারোটায়,
দেখে শুনে দিদার যেন ভিরমি লেগে যায়।
এতটুকু ছেলে এদের এত পড়ার চাপ,
উঁচু ক্লাসে কি হবে রে ওরে বাপরে বাপ্।
দুধের দুটি শিশু তাদের টিচার নাকি মারে,
শুনে দিদার আত্মা শুধু কাঁদে হা হা করে।
দিদা ভাবে এদেশেই কি জন্মেছিলেম আমি?
কেন এমন পাল্টে গেল বল অন্ত র্্যা মী?
পড়ার আনন্দটা যদি হয়েই পরে বোঝা,
জীবনেতে চলার পথটা হয় কি কারোর সোজা?
দেখে শুনে দিদা এবার গোটায় পাততাড়ি,
জন্মভূমি ছাড়তে আমার হবেই তাড়াতাড়ি।
Comments »
No comments yet.
RSS feed for comments on this post. TrackBack URL
Leave a comment