হরিণ / শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ
বিদেশে গিয়েছে প্রেম দু বছর আগে
এখানে জ্বালাঙ্গী পারে দিগন্তে
সূর্যটা ওঠে প্রতিদিন।
উঠোনের এক কোনে
টুপটাপ ঝরে যায় কাঁঠালের পাতা
যে উঠোনে চোখ রেখে দালানে বা ছাদে
বই নিয়ে সারাক্ষণ পড়ে যেতো প্রেম।
কোচিং-এ পড়তে যেত
দেবুদার নোট নিতো
ক্লান্তিহীন ছুটে যেত মন্ত্রপূত পুূতুলের মত।
ওদিকে খেলার মাঠে কানু ভোলা পল্টুর সাথে
মাঝরাতে মনে মনে খেলে যেত প্রেম।
ধন্য ধন্য আশা ধন্য গর্ভ তোর
গর্ব করে পরিজন পড়শি স্বজন।
বলে প্রেম–আয় বাবা,
মঞ্চ সাজানো আছে দু বছর হলো।
মন ভালো নেই তাই আশালতা মার
শুকনো আলুর মতো শুকোয় শরীর
রাশি রাশি টাকা আসে প্রতি মাসে
শ্রাবনের মেঘ থেকে বৃষ্টির মতো।স
যে আসে না তার নাম প্রেম।
বার্তা এসেছে কাল তার
সে বলেছে–মা আমার প্রিয়তম মাগো
চেয়েছিলে যন্ত্র হই টাকা করি মগজে দু হাতে।
মনে করো একদিন আমার হরিণ বেলা
তুমি ছিলে সতর্ক বাঘিনী।
তাই তো উঠেছি আমি এতো উচ্চে
সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে।
নামবো কেমন করে সেকথা বলার আগে
সুভদ্রা-র মতো তুমি ঘুমে গিয়েছিলে।
রেখেছি তোমার কথা শুধছি জন্ম ঋণ
এখন কী যেতে পারি আমি!
একদিন ছুটি নিলে কত টাকা ক্ষতি হবে জানো?
Comments »
No comments yet.
RSS feed for comments on this post. TrackBack URL
Leave a comment