সপাটে একটা থাপ্পড় মারলেন প্রমীলাদেবী, নিজ পুত্র অংশুর গালে।
-“কি করছো কি প্রমি!! এ তোমার গর্ভজাত..তুমি বাইরের একটা নষ্টা, চালচুলোহীন মেয়ের জন্য ওর গায়ে হাত তুললে?..আমি বলছি তো বিষয়টা আমি হ্যান্ডল করছি, আশেপাশে অনেক ক্লিনিক আছে, কিছু টাকার ব্যাপার, আমি দেখে নিচ্ছি তুমি শুধু মাথা ঠান্ডা কর”, চিৎকার করে বললেন অজাতশত্রু দত্ত, দত্ত এন্ড কো. -এর মালিক, প্রমীলাদেবীর স্বামী, ও অংশুমান দত্তের পিতা।
-“হ্যাঁ, আমি ওর গর্ভধারিণী, কিন্তু তার আগেও আমি একজন ‘মা’..মেয়েটির পরিচয় আমার জানার কথা নয়, আমাদের শিক্ষায় বড় হওয়া আমাদের পুত্র নিশ্চয়ই সেটুকু জেনে থাকবে, শুধু এটা আমার আদেশ- যে কর্ম অংশু করেছে তার ফলের দায়িত্ব ওকে নিতেই হবে!!..ওর দ্বারা যেটুকু সম্ভব হবেনা, মা-বাবা হিসাবে সেইটুকু আমাদের মাথা পেতে নিতেই হবে” শান্ত অথচ দৃঢ় গলায় উত্তর তাঁর।
-“তুমি পাগল হয়ে গেছো!!আমি “… কথা শেষ হওয়ার আগেই পুনঃরায় তেজস্বিনী প্রমীলাদেবী বললেন -“আর একটা কথাও নয়, এক্ষুনি উকিলবাবুকে ফোন করে ওদের রেজিস্ট্রির ব্যবস্থা কর। যেটুকু সময় লাগবে মেয়েটি আমার দায়িত্বে থাকবে। টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার মানুষ তো তুমি নয়, অনেক সততা ব্যায় করে তুমি আজ প্রতিষ্ঠিত, অনেক কাঁটা সয়ে আমি গড়েছিলাম ওকে। পুত্র স্নেহে তুমি অন্ধ হয়ে গেছো, কিন্তু আমি কোনো অন্যায় হতে দেবোনা, ওই মেয়েটিও কোনো মায়ের গর্ভজাত “…সে সময় দূরের থেকে ভেসে আসলো–
“ইয়া দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা,
নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমো নমঃ।।”
-রুমকী সাউ
—————————————————————————————————————————————-
Comments »
No comments yet.
RSS feed for comments on this post. TrackBack URL
Leave a comment