যদি প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তির মধ্যে তুলনা করতে চাই তবে দ্বন্দ্ব বাড়বে বৈ কমবে না,। তাই প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির বৈষম্য ভুলে প্রত্যাশা মানুষকে করতেই হয়।
আমিও তার ব্যতিক্রম নই।
প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির ঝুলি-
একজন মেধাবী ছাত্রী হয়ে দ্বাদশ শ্রেণীতে উচ্চমাধ্যমিকে আশানুরূপ নম্বর পেলেও নিজের লক্ষ্য ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য আমি আমার 100% দিতে পারিনি। ইচ্ছে ছিল ভারতের 32 টি NIT মধ্যে যেকোনো একটিতে পড়াশোনা করে নিজের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করে বাবা মায়ের মুখে হাসি ফোটানো। সেটা হয়নি,হয়তো আমার কিছু ঘাটতি ছিল। এটা আমার 2019বড় অপ্রাপ্তি।
তবুও নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কখনোই হাল ছাড়িনি। নিজের লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে গেছে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার দিকে। সেই দিন থেকে চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে গেছি যতটুকু পেয়েছি ততটুকু কি আঁকড়ে ধরে নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়েই শীর্ষে পৌঁছাব।
আর এইসব অপ্রাপ্তির মধ্যেও আলাদা কিছু নয় স্কুলের লাইফ টা।
স্কুলের চার দেওয়ালের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে আসা।নতুন বন্ধু নতুন ক্লাসরুম প্রত্যেকের সাথে মানিয়ে নেওয়াটা আবার নতুন করে তাদের বোঝা..সাথে সাথে মানসিকভাবে অনেক বড় হয়ে যাওয়াটাও একটা প্রাপ্তি। ফিজিক্স কেমিস্ট্রি বায়োলজি ছেড়ে.. এক নতুন জগৎ এ পাড়ি দেওয়া.. যেখানে কোনো বাধা নেই. মাস্টারমশাইদের বকুনি নেই.. আর বাবা-মায়ের বজ্র আঁটুনি টাও অনেকটা আলগা হয়ে যাওয়া বড় হওয়ার সাথে সাথে।
পিছন ফিরে তাকালে মনে হয় বড় হওয়ার সাথে সাথে অপ্রাপ্তির ঝুলিটা বড় হতে থাকছে.. স্কুল লাইফের রঙিন, দিনগুলো আর ফিরবে না, ভারী বইয়ের বোঝায় হালকা জীবন-যাপন টা মিস করাটা অনেকটা অপ্রাপ্তি।
আর প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তির মাঝেই মূলত প্রত্যাশা।
জীবনটাকে মূলস্রোতের মধ্যে দিয়ে প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির মাঝে সমতুল্য তা বজায় রেখে চলাটাই শ্রেয়।
অনুপমের কথায়-❤️
“যেটা ছিলনা ছিলনা
2019 এ মূল লক্ষ্য ছিল 2018 ঘাটতিগুলোকে সম্পূর্ণ করা। নিঃস্বার্থভাবে সেটাই চেষ্টা করে গেছি। যতটা সম্ভব অসহায় ব্যক্তিদের সাহায্য করা, বাবা-মায়ের পাশে থাকা,.. এবং নিজের জীবনের লক্ষ্যের পথে এগিয়ে চলা। 2018 তে যে ভুলগুলো করেছি সে গুলোকে শুধরানোর পথে 2019 আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। এক একটা বছর এক একটা সুযোগ আমার কাছে। তাই 2019 এর ভুলগুলো যাতে নিরাময় করতে পারি সেই জন্যই 2020 আর একটা সুযোগ। অবশ্যই আমি হয়তো পারবো নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকতে।
**
শুধুমাত্র নিজে সচেতন হয়ে হয়তো একটা সমাজের দায়িত্ব নিতে পারব না। কিন্তু একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সমাজকে সচেতন করতে পারব। একটা ভুল করলে সেটা যেমন ফেসবুকে মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়… তেমনি একটা মহান কাজ করলে সেটা ভাইরাল হয় না.. তখন সেটা লোকদেখানো মনে হয়. জ্ঞান দেওয়া মনে হয়. এইতো আমাদের মানবিকতা। আমার মতে হয়তো কিছুটা সমাজের বদল করলেই পরিবেশের বদল আনতে পারবো। মানুষ বড়ই স্বার্থপর.. আমি চাইবো সেই স্বার্থপরতা টাকে ভুলে নতুন বছরে নতুন আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে 2020 তে যদি সব টা আপন করে নি?
কথায় আছে” দিলে কমে না আরো দ্বিগুণ হয়”। সেটা সচেতনতা হোক বা কোন উপহার.. সেটা মানুষকেই দি বা সমাজকে। হয়তো আমি এমন একজন নগণ্য নাগরিক আমি নিজে কখনো বদল আনতে পারব না. তবে যা কিছু খারাপ হচ্ছে তার মধ্য থেকে ভালো টাকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে আর যা ভালো তা সবার মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে নিজের অস্তিত্বকে, নিজের আত্মসম্মান, নিজের মেরুদন্ড তাকে সোজা করে এগিয়ে যেতে হবে জীবনের লক্ষ্যে।।
“সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে”💓
Comments »
No comments yet.
RSS feed for comments on this post. TrackBack URL
Leave a comment