নতুন পুকুরের কথা বলতে গিয়ে যে স্মৃতিটা গোষ্ঠ ভবনে বড়-হওয়া সব কচিকাঁচাদের মনের পর্দায় প্রথম ভেসে ওঠে , সেই স্মৃতিটা এক ঝটকায় তাদের ছেলেবেলায় টেনে নিয়ে যায়, পুকুরের মধ্যিখানে, আর মনে মনে হাত পা ছুঁড়ে-ছুঁড়ে সাঁতার কাটায় ! গরমের দিনে মর্নিং স্কুলের ছুটির পর গোষ্ঠ ভবনের এক ডজন বালকবালিকার মনে তখন একটাই ইচ্ছে , কখন নতুন পুকুরে নেমে গা জুড়োব আর ইচ্ছেমত হাত পা ছুঁড়ে সাঁতার কাটব | সময়ের বাঁধন নেই , বড়দের শাসন নেই | অফুরন্ত আনন্দ আর আনন্দ ! কেউ খামার থেকে ছুটে এসে ছোট্ট সাঁকোটা পেরিয়ে ঘাটের পার-বরাবর পৌঁছে হাততালি দিতে-দিতে চিৎকার করে লাফিয়ে পড়ছে জলে | আবার গা ভর্তি জল নিয়ে ভিজে জামাকাপড়েই উঠে এসে আবার খামার থেকে দৌড়তে শুরু করছে | আবার লাফায় , আবার ওঠে , আবার ছোটে | যতক্ষণ না প্রাণের আরাম , মনের তৃপ্তি ও শরীরের ক্লান্তি মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় | কখনো আবার পেটরোগা ছেলেটা তার ছোট ছোট ভাই ও বন্ধুদের শেখায় কীভাবে লাফ দিতে হয়। তাদের অনুপ্রাণিত করে | তার পিছনে ছোটে দে-বাড়ির তাপস , তাপসের পিছনে বাবলু আর শেষে অঙ্কেশ | এইভাবেই চলতে থাকে ছোটদের দৌড়োনো – লাফানো – ঝাঁপানো | একটা বিশেষ ছন্দে | ছোটদের ছন্দে তাল মিলিয়ে একটু বড়রা , সিতাংদা , হদু দে ও শেতলা উল্টো দিকে মোহনার পারে যে তালগাছটা সোজা না দাঁড়িয়ে বেঁকে -বেঁকে পুকুরের সমান্তরাল বেড়ে গিয়ে তারপর সোজা হয়েছে , সেখানে উঠে গভীর জলে ঝাঁপাতে থাকে একের পর এক , যতি-বিরতির নিয়ম মেনে | আর পুকুরের মাঝখানে অণিমাদি, জবা, সুষমাদি, রীতাদি, পুনিদি, চিনু, চালি ও বুড়ি জলের মধ্যে বিভিন্ন রকমের খেলা খেলতে থাকে | প্রথমে একে অপরের গায়ে – মাথায় – মুখে জল ছেটাতে থাকে আর হাসির রোল পড়ে যায় | তারপর কে কতবার ডুব দিতে পারে , কে কতক্ষণ জলের মধ্যে ডুবে থাকতে পারে… হাত দিয়ে নেড়ে-নেড়ে কে কত সুন্দর জলতরঙ্গ তৈরি করতে পারে… আর মাঝে মাঝে সবাই মিলে একসাথে সাঁতার কাটা | কতক্ষণ ধরে কত রকমের সাঁতার কাটা হত, কারো কোনো হুঁশ থাকত না | আবার ছেলেদের মধ্যে দেখা যেত ডুবে-ডুবে কে কতটা সাঁতার কেটে যেতে পারে | গ্রীষ্মের দুপুরের অনেকটা সময় হেসে খেলে গা জুড়িয়ে নতুন পুকুরেই কেটে যেত |
এইসব আনন্দ হুল্লোড়ের সাক্ষী থাকত পুকুরের চার ধারে সারি সারি এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা তিরিশ-চল্লিশটা তালগাছ | কত বাহারি নাম তাদের | হাঁড়ি গাছ, মহানের গাছ, আতা গাছ এসব চেনা চেনা নামের পাশে অচেনা – অনামী কত তাল গাছ | সাঁকোর গাছ , জোড়া তালগাছ , ঈশান কোনের গাছ | আরো কত সব নাম সময়ের সঙ্গে হারিয়ে গেছে | তাল কুড়োনোর স্মৃতি গোষ্ঠ ভবনের ছোট বড় সবার কাছে একটা অমূল্য স্মৃতি | তালগাছ ছাড়াও পুকুরের চারদিকে আরো অনেক গাছ ছিল | পশ্চিম পাড়ে শিমুলগাছে সুন্দর সুন্দর ফুলের বর্ণময় স্মৃতি রোমাঞ্চের আবহ তৈরি করে , উদাসী মন ছেলেবেলার সেই দিনগুলি খুঁজে খুঁজে ফেরে | শিমুলগাছের পাশে খেজুরগাছ আর পশ্চিম পাড়ে একটা বাগানের মতো জায়গায় ছিল বিশাল একটা জবাগাছ | কয়েকটা তেঁতুলগাছও ছিল পশ্চিম পাড়ে | নতুন পুকুরের দক্ষিণ দিকে খামার | বাড়ি থেকে খামারের মধ্যিখান দিয়ে গিয়ে ছোট্ট সাঁকো পেরিয়ে পুকুরের ঘাটে যাওয়ার রাস্তা | ঘাটের বাঁদিকে আরো একটা সরু তালগাছ এঁকেবেঁকে জলের উপর নুয়ে পড়েছে | কেউ কেউ ওই নুয়ে-পড়া তালগাছের উপর দাঁড়িয়ে ছিপ ফেলে মাছ ধরত | দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকের কোনে ছিল অনেকগুলো আতাগাছ ও বাবলাগাছ আর দক্ষিণ পাড়ের ডানদিকে ছিল বাঁশবন|
ছোট বেলায় নতুন পুকুরটা একটা বিশাল পুষ্করিণীর মতো মনে হত |বর্ষাকালে জলে টইটম্বুর হয়ে থাকত | চার পাড় এক অদ্ভুত সুন্দর সবুজ বনলতায় মোড়া, যেন কোনো এক যুবতী তার ভরা যৌবনের গর্বে ভরে রয়েছে | সাঁতার কাটতে ভয় পেতাম | গ্রীষ্মকালে জল একটু কম হলেও পুকুরের মাঝে গভীরতা থাকত আট -দশ ফুট | ঘাটের কাছে কিছুটা বালি-সরা হলেও মাঝে একফুটের মতো পাঁক থাকত | পাঁকের মধ্যে বিভিন্ন চুনোপুঁটি ও অন্যান্য মাছ , গুগলি – ঝিনুক বাসা করত | নতুন পুকুরে প্রচুর চিংড়ি মাছ সাঁতার কেটে ভেসে বেড়াত | তাছাড়া ছিল প্রচুর কাঁকড়া | জলের ধারে খেলে বেড়াত , ধরতে গেলে ছুটে গিয়ে গর্তে লুকোত | কাঁকড়া ও কুচো চিংড়ি ধরা আমাদের সকলের একটা খেলা আর নেশার মতো হয়ে গিয়েছিল | বিভিন্ন উপায় ও ফিকির – ফন্দি করে কাঁকড়া ও চিংড়ি ধরতাম | পুকুরের গায়ে জলের ধারে-ধারে ঘুটি সাজাতাম | ছোট ছোট সবুজ তাল পাতার মধ্যে ঘুঁটে খেজুরপাতা , ভাত , খোল মাখানো চার দিয়ে ভালো করে বেঁধে পুকুরের অল্প জলের মধ্যে ডুবিয়ে রাখতাম | চিংড়ি মাছ আর কাঁকড়ার সঙ্গে মৌরলা ,পুঁটি , ল্যাটা ও ভোলামাছ এসে ভিড় করত | গোলাকার চাটুনি জাল দিয়ে পুরো ঘুঁটিটা ডাঙায় তুলে ফেলতাম | আর মাছগুলো বেছে নিয়ে ঘুঁটিটা আবার যথাস্থানে রেখে দিয়ে আসতাম | কখনো আবার মেটেলি সাপ ও বিভিন্ন আকারের সোনাব্যাঙের দেখা মিলত |
ছোটকাকা প্রতি শুক্রবার রাত্রিতে বাড়ি আসতেন | ছোটকাকার শখ ছিল শনি ও রবিবার স্নান করার আগে গাঁতি জাল টেনে-টেনে নতুন পুকুরে মাছ ধরা | জালের একদিক উনি ধরতেন আর অন্যদিকে সুকোদা বা অন্য কেউ জাল ধরে টেনে-টেনে কিছুটা জলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে কোনো এক কোনে গিয়ে জালটা তুলতেন | আর জালের মধ্যে ছোট-বড় বিভিন্ন মাছ ধরা পড়ত | কাকার দৌলতে ভাইপোভাইঝিদের পাতেও নতুন পুকুরের টাটকা টাটকা মাছ ভাজা পড়ত | মেজ জ্যাঠামশায়ের বড্ডো নেশা ! নিজেনিজেই ছোট-বড় কত জাল বুনতেন | চাটুনি জাল , ছোট গাঁতি জাল , বড়ো সাইজের গাঁতি জাল , বড়ো মাছ ধরার জন্য ডোরা জাল | সময়ে-অসময়ে যখনই খেয়াল হত তখনই জাল নিয়ে বেড়িয়ে পড়তেন , নতুন পুকুরে মাছ ধরার জন্য | বালতি ভরে মাছ নিয়ে আসতেন | তাছাড়া বর্ষা-বাদলের দিনে পুকুরের পশ্চিম পাড় কেটে মোহনার মতো তৈরি করতেন | যাতে বাইরের জল গিয়ে পুকুর ভর্তি হয় | আবার দরকার পড়লে পুকুরে জল মোহনা দিয়ে বাইরে বের করে দেওয়া যায় | এই মোহনার জলপথে কখনো মাছ ধরার “বার” বসাতেন আর কখনো ঘুনি | বাইরের বর্ষার জলে ভেসে আসা মাছ ধরতেন | আবার বাইরের জলের টানে পুকুর থেকে উঠে আসা মাছও ধরতেন |
ছিপ ফেলেও মাছ ধরা হত | লবা-দার কথা খুব মনে পড়ে | একসঙ্গে দুটো-তিনটে ছিপ নিয়ে বসে থাকত | কোনোটা কেঁচোর টোপ আবার কোনোটা ছোট ছোট ময়দার গুলি | পুঁটি ,মৌরলা , ল্যাটা ও কইমাছ ধরত | বাড়ির বড় দাদারা হুইল ছিপ দিয়ে বড় বড় রুই কাতলা ও পোনা মাছ ধরত ! আমরা চার তৈরি করে ঘাটে ছড়িয়ে দিতাম |চারের গন্ধে ও খাবারের লোভে গভীর জল থেকে বড় বড় মাছ উঠে এসে ছিপের বঁড়শিতে আটকে থাকা টোপের চার পাশে ঘোরাঘুরি করত | দেখা যেত , বোঝা যেত মাছের উপস্থিতি আর সকলের চোখ তখন ছিপের ফতনার উপর | ঠোকরালে বোঝা যেত | টোপ গিলেই চোঁ চোঁ দৌড় লাগাত| ফতনা ডুবে গিয়ে মাছের পিছু পিছু যেত | আর তখন কিছুটা হুইলের সুতো ছেড়ে খেলিয়ে খেলিয়ে মাছটাকে ঘাটের কাছে নিয়ে এসে তোলা হত | উত্তেজনায় সারা শরীর ঘেমে যেত |
মাছ ধরার সবচেয়ে অভিনব কৌশল ছিল বুদোদা-র | বাঁশের তৈরি সটকে ছিপ ( টাঙ্গা )দিয়ে মাছ ধরা | নরম বাঁশ কিংবা মোটা কঞ্চি দিয়ে তৈরি সটকের মাথায় দড়ি বঁড়শিতে ছোট ছোট মাছ গেঁথে জলের ধারে দাঁড় করানো হয় আর মাথাটা নুইয়ে রাখা হয় যাতে ছোট মাছ বা টোপটা ঠিক জলের উপর থাকে | আর কোনো বড়মাছ টোপটা গিললেই সটকাটা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে আর আটকে যাওয়া মাছটা ঝুলতে থাকে | বুদোদা-র আরো একটা নেশা ছিল মাছ শিকার করা | রাত্রি আটটা-নটার সময় পরিবেশ যখন একটু নিস্তব্ধ হয় কিছু কিছু মাছ অল্প জলে খাবার সন্ধানে আসে | তখন বুদোদা ক্যাঁচা,- যেটা দেখতে অনেকটা পাঁচটা লোহার শিক দেওয়া ত্রিশূলের মতো, বল্লম , মাছ গাঁথার বর্শা বা লোহার লম্বা শিক দিয়ে মাছটাকে গেঁথে ফেলত | তারপর সেই মাছ বাড়ি নিয়ে এসে ভেজে রাত্রিতে সেই মাছভাজা দিয়ে ভাত খেত |
নতুন পুকুরের পশ্চিমপাড়ের গা ঘেঁষে এখন যেখানে পঞ্চায়েতের সিমেন্ট বাঁধানো রাস্তাটা, সেটা আদপে ছিল জল-নিকাশি খাল | গ্রামের সব জমি বর্ষার জলে ভেসে গেলে সেই জল-নিকাশি খাল দিয়ে পুকুরের পশ্চিমপাড় বরাবর গিয়ে বাঁদিক ঘুরে দক্ষিণ দিক ধরে কিছুটা গিয়ে খামার ও পুকুরের পাশ দিয়ে সাঁকোর তলা দিয়ে কিছুটা গিয়ে চালদা গাছটাকে ছুঁয়ে কার্তিক পুকুরে গিয়ে পড়ত | বৃষ্টি-বাদল খুব হলে কার্তিক পুকুরের জল উপচে পাশের কুলির জলে মিশে দ্বারকেশ্বর নদীতে পড়ত | পুকুরের উত্তরপাড় বরাবর একটা মাটির রাস্তা পালপাড়া থেকে সোজা কোলেপুকুরের বাসরাস্তায় মিশেছে | তখনকার দিনে ওই রাস্তায় পৌঁছতে গেলে পুকুরের পুবপাড়ের উপর কোনোরকমে পা ফেলার মতো সংকীর্ণ একটা রেখার মতো কোনোমতে যাওয়ার একটা রাস্তা থাকত| বর্ষাকালে যখন বড় বড় ঘাস ও ঘন সবুজ আগাছায় রাস্তাটা ঢেকে থাকত , তখন যাতায়াতের খুব অসুবিধা হত| নতুন পুকুরের পুবপাশেই গঙ্গা কুন্ডুদের তালপুকুর | এই দুই পুকুরের মাঝে ছিল জঙ্গল | সেখানে চন্দ্রবোড়া ও অন্যান্য সব বিষাক্ত সাপ ঘুরে বেড়াত | ফণাধর সাপেদের মিলন হত | সাপে সাপে শঙ্খ লাগত | তাই পুকুরের পাড় দিয়ে যাতায়াত করা কতটা বিপজ্জনক ছিল জানি না, কিন্তু বড় ভয়ের ব্যাপার ছিল | কিন্তু তাছাড়া আর কোনো উপায়ও ছিল না |
মাঝে মাঝে জেলেরা আসত বড় বড় জাল নিয়ে নতুন পুকুরে মাছ ধরতে | খুব আনন্দ হতো তখন। বড় বড় আট কেজি দশ কেজি সাইজের মাছ জালে পড়ত | আমাদের নতুন পুকুরে একটা বিশাল বড় বোয়াল মাছ ছিল | মাঝে মাঝে ঘাটের কাছে জলে ভুড়ভুড়ি কেটে আসতে দেখা যেত , জল তোলপাড় করে যেত | কোনোদিন জালে পড়ত না – জেলেরা বলত “বড্ডো সেয়ানা ওই বোয়াল মাছটা “ | জেলেরা জাল টেনে-টেনে অন্য পাড়ে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছোট বড় অনেক মাছ লাফাতে দেখতাম | বড় বড় কিছু মাছ লাফিয়ে জালের বাইরে চলে যেত | জেলেরা একটু হা-হুতাশ করত “যাঃ বড় বড় মাছগুলো সব পালিয়ে গেল !” আবার অনেক ছোট-বড় মাছ পালাবার চেষ্টা করে লাফালেও জালের মধ্যে পড়ত | আবার লাফাত , প্রাণপণ চেষ্টা করেও জালের বাইরে যেত না | সবচেয়ে মজার দৃশ্য জাল গুটিয়ে-গুটিয়ে তোলার সময় | এত মাছ একসাথে লাফাতে আর কখনো দেখা যেত না | যেন মাছের বৃষ্টি হচ্ছে জালের উপর | জালের তলায় পাঁকের মধ্যে মুখ লুকিয়ে অনেক মাছ বসে আছে , নির্ভয়ে | বুঝতে পারে না তারাও জেলেদের জালে ধরা পড়েছে | প্রথম কয়েকবার জাল টেনে বড় বড় সাইজের রুই , কাতলা , মৃগেল , বাটা , চারাপোনা , গলদা চিংড়ি ধরা হত| তারপর জেলেরা পা দিয়ে দিয়ে পাঁকটা ঘটিয়ে দিতো , তারপর ছোট মাছ ধরার জাল দিয়ে চুনো , পুঁটি , মৌরলা , ঘুসোচিংড়ি, ডানকুনি, চাঁদকুড়ো এইসব ছোট মাছ ধরত |
শুধুমাত্র মাছ ধরা , সাঁতার কাটা বা তাল কুড়োনো নয় , গোষ্ঠ ভবনের দৈনন্দিন জীবনে নতুন পুকুরের অবদান হিসাব করা যাবে না | আমাদের মা , কাকিমা , জ্যাঠাইমা ছাড়াও আশপাশের অনেক মহিলারা কলসি সঙ্গে নতুন পুকুরে আসত স্নান করতে | কলসি-ভর্তি জল নিয়ে গিয়ে রান্না করত | কিবা গ্রীষ্ম কিবা শীত সারাবছরই তারা নতুন পুকুরে আসত | তাছাড়া থালা-বাসন ধোয়াও হত নতুন পুকুরের জলে | গরুদের খাওয়ার জন্য নতুন পুকুরের জল ব্যবহৃত হত| গোষ্ঠ ভবনের শাক সবজি , ফসল ও ছোট ছোট গাছের জল নতুন পুকুরই জোগাত | বাড়ির মেয়েরা যেমন “পুণ্যি – পুকুর পুষ্পমালা” ব্রত করত, তেমনই পরিবারের অশৌচের সময় ক্ষৌরকর্ম করার পর সকলে একঘাটে স্নান করে উঠত | এরকম কত জানা-অজানা ভূমিকা পালন করে এসেছে বহু দিনের বহু পুরোনো কিন্তু আমাদের কাছে চির-নতুন এই “নতুন পুকুর”।
Comments »
No comments yet.
RSS feed for comments on this post. TrackBack URL
Leave a comment