দেবার্ঘ্য
ওই যে দিগন্ত পারে এখনো দেখি তোমারই ছবি,
রেখেছি খোলা হৃদয় দুয়ার লহ প্রণাম কবি।
নতুনের মাঝে আজও চিরনতুন তব সৃষ্টি,
বীনার তারে সুরে সেধেছি তব শিল্পের কৃষ্টি।
নই নজরুল আমি, তব শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে তুচ্ছ আমি,
ওষ্ঠ জুড়ে শুধুই তব সৃষ্টি জানেন অন্তর্যামী।
রেখায় রেখায় রন্ধ্রে রন্ধ্রে জীবন মাঝে জড়িয়ে আপনি,
আশ মেটে না পড়ি বারে বারে আপনার লিখনি।।
মান-অভিমান সব ভুলে যায় তব গল্প-গাঁথার মাঝে,
রণক্লান্ত দিবস শেষে জুড়ায় প্রাণ তব গীতি সাঁঝে।।
কাঁদিতে চাইলে মন স্মরিয়া তোমায় পাই হাসির কিরণ,
চাইনা আমি অমৃত, কাটাতে চাই তব চরণে সঁপিয়া জীবন।।
আকাশ পানে চেয়ে দেখিতে পাই আপনারই প্রতিচ্ছবি,
ধরার বুকে জাগায় হিল্লোল উদিত হয় নতুন রবি।।
মনন মাঝে রেখেছি তোমায়, বন্দিত প্রতি স্পন্দনে,
রাত্রি জাগা নয়নজুড়ে তোমায় দেখি আপন মনে।।
দেবতা রূপে পূজি তোমায়, মন্ত্র তোমার গান,
রক্তের প্রতি বিন্দুতে মিশে আছে তোমার অবদান।।
ঘাটশিলা কিংবা শিলাইদহ থাকবে সাথে আমরণ,
মেদিনী মাঝে রতন তুমি, তোমার কর্ম জাগায় মনে শিহরণ।।
রেলগাড়ির ওই ঝম ঝমা ঝম তোমার ছন্দে মাতে ভুবন,
তুলির টানে আঁকি ছবি, তুমি বিশ্ব মাঝে অমূল্য রতন।।
ইচ্ছে করে তোমার মতন, কল্পলোকে ভাসায় জীবন,
বাঁধনহারা জীবন মাঝে তোমায় তরে রেখেছি সিংহাসন।।
চাক্ষুস দেখিনি তোমায় তব সৃষ্টিতে আমার শতকোটি প্রণাম।।
Comments »
No comments yet.
RSS feed for comments on this post. TrackBack URL
Leave a comment