‘কিগো কবে ফিরলে তুমি দেশভ্রমন থেকে?
বেশতো বাবা একলা গেলে কর্ত্তাটিকে রেখে’।
‘আজকাল ভাই প্লেনের যা সব বেড়ে গিয়েছে ভাড়া
যেতেই হল একা আমার কর্ত্তাটিকে ছাড়া’।
‘তা বেশ করেছো মাঝে মাঝে একলা রাখাই ভালো
তা নইলে সব দর বোঝেনা যতই সেবা ঢালো,
তা ঘুরলে কেমন? কিনলে নতুন নতুন শাড়ী কটি?
গড়ালে কি নতুন কিছু সোনার গয়নাগাঁটি?
পরশুদিন তো ফিরেছে এই জলি এবং মীরা,
লুকিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো এদেশ থেকে হীরা,
গড়িয়ে নিয়ে এসেছে সে চমত্কার এক সেট,
ওপরেতে হীরা তলায় প্লাটিনামের প্লেট’।
‘ও বাবা সে অনেক তো দাম’, ‘বলে তো লাখ চার
আমার তো ভাই সন্দেহ হয় ওটা ডায়মোনেয়ার
গড়িয়াহাটে বিক্রী করে আসল নকল জিনিষ,
দেখলে পরে বুঝবেনা কেউ সোনার জলে পালিশ।
জানোতো সব বাড়িয়ে বলা স্বভাব আছে ওদের,
কথার মাঝে ভেজাল দেওয়া নেইকো স্বভাব মোদের’।
‘আমি তো এই কিনলুম জাস্ট চারটে বেনারসী,
তিনটে কাঞ্জীভরম তার একটা দিল পিসি,
দুইটা কাঁথাস্টিচ আর তাঁতসিল্কের ছটা,
অপূর্ব্ব এক জামদানি আর ক্রেপ সিল্কের দুটা,
নতুন ধরণ শাড়ী নাকি ইত্কাত্ নাম তার,
ভাল্লাগ্লো তাইজন্য চারটা নিলাম তার,
এর সঙ্গে ম্যাচ করে সব ব্লাউজ এবং শায়া,
পুরোনো সব গয়নাগুলোর করলুম না মায়া,
বদল দিয়ে অনেক ভরির এল হাতে সোনা,
তাই দিয়ে সব গড়িয়ে নিলুম নতুন গহনা’।
‘তা বেশ করেছো, এই তো সময় যে কটা দিন বাঁচো,
খাও, দাও আর আনন্দেতে গান গাও আর নাচো’।
‘শুনলে শীলা দেশে গিয়ে এই আমাদের রিনি,
লাখ সাত আট টাকা নাকি খরচা করেন তিনি,
চাল মারবার জায়গাটি আর পাননি খুঁজে বুঝি,
হাড় চামার ঐ কর্ত্তাটিতো নয়কো সোজাসুজি
বলে আবার চুপি চুপি কর্ত্তা জানেনা,
বদমাইসি আর কারচুপিতে সমান দুজনা,
কাজ তো করে তিনপয়সার ওয়ালগ্রীনের ফ্লোরে,
অনেক টাকাই মেরেছে ঠিক্ বরের পকেট ঝেড়ে’।
“সবার ঘরের হাঁড়ির খবর জানা আছে আমার
কায়দা করে বার করে নি যার যা আছে জানার
তারপরে সব চালান করি এপার থেকে ওপার,
মিষ্টি মধূর হাঁসির ছটায় ভূবন ভোলাই সবার,
যাক্গে বাবা যে যাই করুক আমার কি যায় আসে,
নেমন্তন্যে গিয়ে খবর শুনিই তো চারপাশে
এতক্ষনে সময় পেলাম বাকি খবর শোনার,
ফোন করেনি একটুখানি ইলার খবর জানার”।
Comments »
No comments yet.
RSS feed for comments on this post. TrackBack URL
Leave a comment