আমি সেই মা-
যার মেয়ে দিনে রাতে কোথাও সুরক্ষিত না।
যার মেয়ের শ্লীলতাহানি হলে
“বুকের ওড়না কতটা সরেছিল
তাইতো ওরা কামুক হয়েছিল”-
এসব বলে মেয়েদের রোজ পণ্য বানানো হয়
আর মোমবাতি হাতে মিছিল করে
সমাজের বুদ্ধিজীবী রা সারে সব দায়।
আমি সেই মা-
যার মেয়ের দেহে
সমাজ কেন্দ্রীভুত করেছে তার সম্মান
তাই দেহ,যোণীকে ছারখার করতে হাজার জিভ লেলিহান ।
আবার লোভীর দৃষ্টি নয়,
ঘোমটা বোরখার আড়ালে সেই দেহকে ঢেকে রাখতে হয়।
না হলে ছোটো পোশাক না বড়ো পোশাক?
রাত দশটা না দুটো ? কটা পুরুষ বন্ধু ?
এসব নিয়ে কথা হয়।
আর অন্যায়কারী পুরুষ নামক খোলসে ঢুকে পড়ে
এসব প্রশ্ন থেকে দূরে রয়।
আমি সেই মা-
যার যোণীপথে পুরুষ জন্মেও মানুষ হয়না।
যে পৌরুষ মেয়েদের দেহ তারিয়ে খেতে শেখে,
পৌরুষে দম্ভে নেশাতুর, নারী শরীরের রক্ত মাখে।
পাগলের মতো পোশাক ছিঁড়ে দেখে আঢাকা বুক যোণী
পৌরুষ দম্ভে ভোলে এ গুলো তারই অস্তিত্বের ভূমি
আমি সেই মা-
যার পুত্র সন্তান পুরুষ হলো মানুষ হলোনা ।
আমি মা ,
যাকে তোমরা মৃন্ময়ী দেবী তে দেখলে,
নদীর জলে, গবাদি পশুতে খুঁজলে
কেবল রক্তমাংসের মানবীতে খুঁজলে না ।
আমি সেই মা
আমি দেশমাতৃকা
আমি ভারতবর্ষ !!
Comments »
No comments yet.
RSS feed for comments on this post. TrackBack URL
Leave a comment