আমার সাম্রাজ্য ছিল আদিগন্ত বনানী
আমার নখদর্পণে ছিল প্রতিটি পাথর,পাহাড়ী ঝোরা প্রতিটি বন্য প্রাণী-
আমি গর্জে উঠতাম সূর্যের প্রথম কিরনে
আমার চোখে ঝলসে উঠতো নক্ষত্রের আলো নিরাবরণে।
হাওয়া বোলাতো স্পর্শ আমার কনক দেহে
নিস্পলক চোখ আমার অবিচল থাকতো চেয়ে ।
একদিন সেই দৃষ্টি গেলো তোমাদের দিকে-
তোমরা এসেছিলে যদিও দাঁত- নখহীন
তবু তোমাদের হিংস্রতা ছিল নজিরবিহীন ।
ক্ষীনপেশী তবু নির্মম নিষ্ঠুর তোমাদের হাত
মারলো আমাদের শতশত সতীর্থ,শাবক
ছাড়িয়ে নিলে চামড়া, উপড়ে নিলে দাঁত
আমাদের বাসভূমি, চারণভূমি
তোমাদের ধারালো করাত করলো খানখান
তোমদের উচ্চাকাঙখা শুকোলো আমাদের তৃষ্ণার জল,
ধবংস করলো বনস্পতির প্রাণ ।
আমি দেখেছি শত শত সবুজ মহীরুহ কে কাঠ হয়ে যেতে
পশুদের মৃতদেহ হয়ে যেতে তোমাদের সভ্যতার সীমারেখা পেরোতে।
আজ শুধু বাষ্পচোখে ঝাপসা হতে দেখি পরবর্তী প্রজন্মের অস্তিত্ব।
আজ ভাবি এই পৃথিবীতে কি বেশি শ্রেয় ছিল
মনুষ্যত্ব না পশুত্ব ?
Comments »
No comments yet.
RSS feed for comments on this post. TrackBack URL
Leave a comment